Your experience on this site will be improved by allowing cookies
‘দক্ষতা’ এমন একটি শব্দ যেটি চাকরির বাজারে সব থেকে বৃহৎ ভূমিকা পালন করে থাকে । আর এই চাকরির চাহিদার সাথে দক্ষতার সঠিক মিল না থাকাতে পলিটেকনিকের ছাত্র/ছাত্রীরা পিছিয়ে পড়েছে। একদিকে যেমন দেশের উন্নতি, আধুনিকায়ন এবং শিল্পায়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তেমনি পলিটেকনিক বা ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা দক্ষতার মান এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
তাই আজ জানতে পারবো কেন পলিটেকনিক ছাত্র/ছাত্রীরা চাকরির বাজারে পিছিয়ে আছে এবং এর সমাধান কী হতে পারে।
পলিটেকনিক শিক্ষা মূলত প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কারিগরি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য হয়ে থাকে। তবে অধিকাংশ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা তাত্ত্বিক শিক্ষা সম্পন্ন করলেও প্রয়োজনীয় হাতে-কলমে দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে থাকে। এই কারণে তারা অনেক সময় চাকরির বাজারে প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়।
চাকরির বাজারে দক্ষতার অপ্রতুলতা
চাকরির বাজারে এখন শুধুমাত্র সার্টিফিকেট না, দক্ষতার ব্যাপারটিও অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে।এটাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।কিন্তু পলিটেকনিক ছাত্ররা অনেক সময় শিক্ষামূলক কোর্সগুলো শেষ করলেও তারা প্রয়োজনীয় সফট স্কিল (যেমন, যোগাযোগ দক্ষতা, টিমওয়ার্ক, সমস্যা সমাধান) এবং হার্ড স্কিল (যেমন, প্রোগ্রামিং, ডিজাইন, প্রযুক্তিগত জ্ঞান) যথাযথভাবে উন্নয়ন করতে পারেন না। তাই, তাদের জন্য জন্য চাকরির বিষয়টি অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়।
নতুন চাকরির সুযোগের সাথে সামঞ্জস্য না থাকা
শিল্পখাতে নতুন নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাব হচ্ছে তাই পরিবর্তনশীল দক্ষতার চাহিদাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। কিন্তু পলিটেকনিক ডিপ্লোমার সিলেবাসে সৃজণশীলভাবে কর্মদক্ষতার কিছুটা অভাব রয়েছে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা এগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে পারে না। যার ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষাথীরা চাকরির বাজারে পিছিয়ে যাচ্ছে।
সরকারি পদে উচ্চমানের পরীক্ষা ও বহুল প্রতিযোগিতা থাকায় আমাদের দেশের পলিটেকনিক ছাত্র/ছাত্রীদের সরকারি চাকরির সুযোগ বেশ সীমিত। অনেক ক্ষেত্রে, দেশের বেসরকারি খাতে চাকরির সুযোগ থাকলেও সেখানে অভিজ্ঞতা, দক্ষতা বা সঠিক মানের প্রশিক্ষণের অভাবে তাদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তবে, গত কিছু বছরে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন শুরু করেছে, যা কিছুটা আশা জাগায় নতুনদের চাকরির ক্ষেত্রে।
শিক্ষার মানের বৈষম্য
দেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ভালো মানের শিক্ষাদান করছে, তবে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান অবকাঠামো, প্রশিক্ষক এবং শিক্ষা উপকরণের অভাবে পিছিয়ে আছে।তাই আমাদের দেশে পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষার মানের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।এই কারণে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ সঠিকভাবে না হওয়ায়, তারা অনেক সময় চাকরির বাজারে নিজের সক্ষমতাকে প্রমাণ করতে পারেন না।
কারিগরি প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি
কারিগরি প্রতিষ্ঠান গুলোর উচিত আধুনিক শিল্প চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ প্রাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ প্রদানের দিকে মনোযোগ দেওয়া। শিক্ষার মান উন্নত করতে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা।
সফট স্কিল উন্নয়ন
প্রতিষ্ঠান বাদেও ছাত্র/ছাত্রীদের নিজেদের সফট স্কিল সমূহকে কিভাবে উন্নয়ন করতে পারে, সেই বিষয়গুলো অনুসরণ করে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির মাদ্ধমে তারা চাকরির বাজারে নিজেকে বেশি অগ্রাধিকার ভাবে উপস্থাপন করতে পারবে।
0 comments